বাংলা বাসতব লাভ স্টোরি

Add caption
👉Linkedin id Link
👆👇
👉Youtube Link
এরকম বাস্তব ভালবাসার কাহিনী পেতে জিমেইল দিয়ে লগইন হয়ে নিবেন জিমেইল দিয়ে লগইন হলে আমি পরবর্তী পোষ্ট দিলে আপনার কাছে নোটিফিকেশন চলে যাবে ভালো লাগলে কমেন্টে জানাবেন পোস্টার কোন জায়গাতে অনুভূতি লাগছে কমেন্টে জানাবেন আর আপনাদের কোন কাহিনী বলার থাকলে কমেন্টে জানাতে পারেন অথবা আপনার বাস্তব কাহিনী বা আপনার বন্ধুদের কাহিনী বলতে পারেন

ভালোবাসার গল্প😍😍

অনেক ভালবাসায় দেখলাম কেউ কারো সাথে বেইমানি করেনা, প্রতারনা ও করেনা সঠিক ভাবে ভালবেসে যায় তার পরেও মিল হয়না। আসলে শুধু ভালবাসলে হয়না কপালেও থাকতে হয়।

আসুন এক গার্মেন্টস কন্যার ভালবাসার কাহিনি শুনি।একদিন সকালে ইনবক্সে একটি মেয়ে নক দিল আর বলল ভাইয়া আপনি তো অনেকের ভালবাসার গল্প লিখেন আমারও একটা ছোট কাহিনি আছে লিখবেন। আমি বললাম শুভ কাউকে ফিরিয়ে দেয় না তুমি
বল আমি লিখবই।মেয়েটি বললো এত কথা
লিখে বলা যাবেনা। আপনি সময় করে কল দিয়েন আমি কল দিলাম।

মেয়েটি বলতে লাগলো, তাহলে শুনোন আমার নাম প্রেমা তখন ২০০৮ সাল আমি
একটা গার্মেন্টস এ কাজ করতাম।আমরা পুরান ঢাকায় থাকতাম সপরিবারে। আমার
বয়স তখন ১৬ আমি ভালবাসার কিছুই বুঝতাম না। আমার কোন ছেলে বন্ধু ছিলনা।
শুধুই মেয়ে বান্ধবী কয়েকজন ছিল। আমি তাদের সাথে যেতাম আর আসতাম।

আমার বান্ধবী রা সবাই প্রেম করতো আর আমি বাধা দিতাম বলতাম এসব ভাল না।
সবাই বলে নাকি প্রেম করলে কষ্টই মিলে তাই আমি প্রেমের ধারে কাছে যেতাম না।

কিন্তু মাঝে মাঝে ইচ্চে হত প্রেম করার কিন্তু
ভয়ে আর সেই ইচ্চে টা চলে যেত। রাস্তায় অনেক ছেলে পিছু নিত, কথা বলতে চাইতো
কাউকে পাত্তা দিতাম না। ভয় করতো পরে যদি কিছু হয়ে যায়। এভাবে বেশ কয়েক মাস কেটে গেল।

আমাদের স্টাফ এর একটা  ছেলে নাম প্রেম সে আমাদের সুপারভাইজার ছিল। তার দেশের বাড়ি সিলেটে ছিল।এত ভদ্র ছিল আমরা এত মেয়ে তার আন্ডারে কাজ করি কিন্তু কারো সাথে সে খারাপ ব্যাবহার বা খারাপ নজরে তাকাতো না।

সবাই তাকে খুব ভালবাসতো, তার ভাল আচরন দেখে আমার প্রেম কে খুব ভাললেগে
গেল। রোজ মেশিন অফ করে ওর দিকে তাকিয়ে থাকতাম। কথা বলার সাহস পেতাম না। অনেক দিন কথা বলতে যেতাম।ওর কাছে গেলে বুকে ধক ধক করে আর হাটু কাঁপতে থাকে।কথা মুখ দিয়ে আসেনা। প্রেম বলতো কি কিছু বলবা আমি মাথা নাড়িয়ে বলতাম না কিছু না।

জানিনা এত ভয় কেন করতো আমার বান্ধবীর দের বলতাম যে প্রেম কে আমার ভাললাগে।দিনে দিনে ভাললাগা টা ভালবাসায় পরিনত হয়ে গেল।এখন প্রেম কে
না দেখে ভালই লাগে না। যখন বেশি দেখতে
ইচ্ছে হত তখন হুদাই ওকে বলতাম আমার মেশিনে প্রবলেম হচ্ছে একটু ঠিক করে দেন।
সে চেক করে বলতো কই কিছুই না হয়নি মেশিন ঠিক আছে। আমি বলতাম কই আমি তো যখন চালাই তখন প্রবলেম করে।

প্রেম বলতো আচ্ছা আমি তোমার পাশে দাড়িয়ে আছি তুমি কাজ কর দেখি কি সমস্যা করে। যদি করে তাহলে আমি ঠিক করে দেবো। আমি মনে মনে বলতাম প্রেম সাহেব তোমাকে কাছে থেকে দেখার ধান্দা এটা। আমি খুব খুশি হতাম যখন ও আমার পাশে থাকতো।

এভাবে প্রায় বছর খানিক কেটে গেল। একদিন
প্রেম আমাকে ডেকে পাটালো অফিসে। আমি গেলাম গিয়ে বললাম কি স্যার আমাকে ডেকে ছেন সে বলল হা ডেকেছি। আর হা আমার নাম প্রেম তুমি আমাকে প্রেম বলে ডাকবে।
আমি একটা কথা বলতে চাই কিন্তু কি ভাবে বলবো বুঝতে পারছিনা।

আমার ভিষন লজ্জা করছে আবার সংকোচ ও হচ্ছে। প্রেমা যদি তোমার উত্তর না হয় তাহলে
প্লিজ কাউকে বলনা।কারন আমার ইমেজ খারাপ হয়ে যাবে সবাই আমাকে খুভ ভাল জানে আর অনেক সম্মান করে।

আমি তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি তোমার নিরবতা তোমার স্বভাব তোমার চুল তোমার চোখ সব কিছু আমায় মূগ্ধ করেছে।তুমি জাননা আমি তোমাকে ফলো করে তোমার পিছু পিছু যেতাম দেখতাম তুমি কারো সাথে কথা বল কি না দেখছি না বল না। আমার খুব ভাল লেগে গেছে তোমাকে।

এখন তোমার ইচ্ছা, আমি বললাম ধন্যবাদ প্রেম আমার মনের কথা গুলা তুমিই বলে দিছ। আসলে তুমি ছেলে তাই মুখ ফুটে বলেদিছ।
কিন্তু আমি কতবার বলতে গিয়েও বলতে পারিনি। এই না বলার কি যে কষ্ট  তা আমি জানি।আমি তোমাকে অনেক আগে থেকেই ভালবাসি।

সেদিন থেকে শুরু হল প্রেম আর প্রেমার প্রেম কাহিনি। এখন থেকে রোজ চোখে চোখে কথা হয় আগে শুধু আমি তাকাতাম এখন সে ও আমার দিকে তাকায় আমরা ইসারায় কথা
বলি। আর প্রতিদিন একটা চিটি আমার মেশিনের নিচে রেখে যেত। আর পরের দিন তার উত্তর আমিও লিখে আমার মেশিনের
নিচে রেখে দিতাম। এভাবে আমরা চিঠির
মাধ্যমে কথা বলতাম।
মোঃ তানবির শুভ
আজ এ পর্যন্ত......
বাকিটা পরে ,দিবো..........

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.