একটি মজার গল্প
এন্ড্রয়েড মোবাইলের কিছু গুরুত্বপূর্ন সেটিংস আপনাদের অনেক প্রয়োজনে লাগবে
টেকনোলজি ভিডিও দেখতে চ্যানেলটিতে ঘুরে আসতে পারেন👇👇👇👇Youtube Link
একটি মজার গল্প
— অ্যাই ছেলে।
— কী?
— বুঝো না?
— কী বুঝবো?
— ধুর তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না।
— বাবা ও বলে।
উদয়ের কথা শুনে অনা হতাশ! দীর্ঘশ্বাস নিয়ে
বললো— একটা মেয়ে একটা ছেলের কাছে কী
চায়?
— টাকা চায়।
— ছিঃ তোমার মা কী তোমার বাবার কাছে
শুধু টাকাই চায়? আর কিছু চায় না?
— চায় তো, ঔষধ।
— অসুস্থ হলে তো ঔষধ লাগবেই। তাছাড়া আর
কিছু চায় না?
— চায়, বলে বাজার শেষ। আসার সময় বাজার
নিয়ে আসবেন।
— আরে আল্লাহ্! বাজার না আনলে খাবে কী
তোমরা? আরো তো কিছু চায়, চায় না?
— চায় তো, কবিতা।
— তাও কিছু একটা তোমার চোখে পড়লো! কী
রোমান্টিক তোমার মা দেখছো? আচ্ছা
তোমার বাবা কবিতা লিখে?
— না, চুরি করে মাকে শুনায়।
— তবুও তো তোমার মায়ের জন্যই। তুমি আমার জন্য
কবিতা লিখবা?
— আমি ওসব পারি না।
— ধুর তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না।
— বাবা ও বলে।
— আমার জন্য কবিতা চুরি করবা তুমি?
— মা তো বাবার বৌ।
— তো কী? আমি ও তোমার বৌ হবো।
— ফাজিল মেয়ে!
বলে উদয় হাঁটতে শুরু করলো। অনা মাথায় হাত
দিয়ে মনে মনে বললো— অনা, তোর কপালটাই
এমন রে।
সুদীর্ঘ চার বছর পেরিয়ে যাচ্ছে অনার। তবুও
অনা কী চায় উদয় বুঝে উঠতে পারছে না।
রাস্তাঘাট, ফেসবুক সহ ইমু সবখানেই অনা উদয়ের
পিছনে লেগে আছে। একই এলাকায়
পাশাপাশি থাকার কারণে দুজনের প্রতিদিনই
দেখা হয়।
আজকে প্রচণ্ড রোদ উঠেছে। তাপমাত্রা খুবই
প্রখর। উদয় যাবে বই উৎসবে। তাঁর কপাল বেয়ে
ঘাম পড়ছে। হঠাৎ কেউ তাঁর মাথার উপর ছাতা
ধরলো! পাশে তাকিয়ে দেখার সাথে সাথেই
অনা বললো— এরকম রোদের মধ্যে বাইরে
বেরোলে মানুষ হাতে ছাতা নিয়ে বেরোয়।
— বাবা ও বলেছিলো। আমি নেইনি।
— সব শুধু বাবাই বলে! আচ্ছা যাচ্ছো কোথায়?
— বই উৎসবে।
— আমি তোমাকে ভালোবাসি।
উদয় থমকে যায় অনার কথা শুনে। অনার দিকে
তাকিয়ে বললো— কী বললেন?
— কানে শুনো না? আমি তোমাকে
ভালোবাসি। তোমার সাথে প্রেম করবো।
রাজি হয়ে যাও নাহয় এই রাস্তার মাঝে
জড়িয়ে ধরবো। তারপর আরো কিছু করবো। তখন
কিন্তু বিয়ে করতে হবে।
উদয়ের গলায় পানি শুকিয়ে গেছে। কিছু বলতে
পারছে না। অনা গলা বাড়ালো— কী জড়িয়ে
ধরবো?
উদয় কোনোরকম বললো— না না, ঠিকাছে আমি
রাজি।
অনা সঙ্গে সঙ্গেই ছাতা ফেলে দিয়ে উদয়ের
হাত টা নিজের বাহুর ভেতরে নিয়ে হাঁটতে
শুরু করলো। উদয় কাঁপছে! এই প্রথম কোনো যুবতী
তাঁর হাত ধরেছে। নারীর স্পর্শে বিদ্যুৎ
চমকাচ্ছে যেন উদয়ের শরীরে।
অনা মুচকি মুচকি হেসে বললো— তোমার বয়স
কতো যেন?
— সাতাশ।
— কয়টা প্রেম করছো?
— একটাও না৷
— থাপ্পড় দিয়ে সাতাশ টা দাঁত ফেলে দিবো।
তাহলে আমি কে? আকাশ থেকে পড়ছি না কী?
উদয় আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো কেউ অনার
কথা খেয়াল করেছে কী না! শত হোক
মানসম্মানের ব্যাপার। একটা মেয়ে তাঁকে
ধমকাচ্ছে। ভীতুস্বরে বললো— একটা, একটা।
— ধুর তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। আমি
তোমাকে ঝারি দিলাম তুমি পুরুষ মানুষ হয়ে
সয়ে গেলা? আমাকে বকা দাও তো
অনেকগুলা।
— বাবা বলছে কাউকে বকা না দিতে। বকা
দেওয়া ভালো না।
— তোমার পেটের ভিতরে ইঁদুর ঢুকিয়ে দেওয়ার
দরকার ছিলো কচু।
— ঢুকানো যাবে না তো। খেতে হবে।
— হাঁট।
বই উৎসবে ঢুকে অনা একটা বইয়ের স্টলের সামনে
দাঁড়িয়ে বললো— কী বই কিনবা তুমি?
— আমার জন্য না। বাবা বলছে মুক্তিযুদ্ধের
কয়েকটা বই নিতে।
— তোমার জন্য কিনবা না? আচ্ছা আমাকে
তাহলে কয়েকটা বই কিনে উপহার দাও।
উদয় কয়েকটা মুক্তিযুদ্ধের বই নিলো। তারপর
ভূতের গল্প একটা বই কিনে অনাকে দিলো। অনা
রেগেমেগে আগুন হয়ে বললো— আমি ভূতের গল্প
পড়ে কী করবো? অল্প বয়সে মরবো না কী?
কথা টা বলে ও অনা বই টা নিলো। তারপর অনা
একটা বই কিনলো। কীভাবে মেয়ে পটাতে হয়।
সাত দিনে মেয়ে পটানোর পদ্ধতি। উদয়ের
হাতে বই টা দিতেই উদয় বললো— এই বই দিয়ে
আমি কী করবো?
— বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পানিতে ধুয়ে
খাবে।
উদয় গালগোল ফুলিয়ে রেখেছে৷
বাড়িতে ফিরছে দুজন। অনা এমনভাবে উদয়ের
হাত টা ধরে রেখেছে উদয় যেন শ্বাসই নিতে
পারছে না। অনার বাড়ির সামনে যেতেই ধুম
বৃষ্টি। অটো চালককে ভাড়া দিয়ে দুজন
কোনোরকম অনার বাড়িতে উঠলো। যদি ও উদয়
ঢুকতে চাচ্ছিলো না। তবু ও বৃষ্টি হচ্ছে, কিছু
করার নেই।
উদয় অনার বাড়িতে ঢুকে অবাক হলো। সারা
বাড়িতে একটা পোকা পর্যন্ত নেই! উদয়কে
বসিয়ে রেখে অনা বাথরুমে ঢুকেছে। কিছুক্ষণ
পর বেরোলে অনাকে বললো— বাড়িতে
কোনো মানুষ থাকে না?
— থাকে, কিন্তু আজকে সবাই খালার বাড়িতে
বেড়াতে গেছে। কেনো ভয় পাচ্ছো?
উদয় কিছু বললো না। বৃষ্টি নামার গতি আরো
বেড়ে যাচ্ছে। উদয়ের ফোনে তাঁর বাবা এরই
মধ্যে ফোন করে ফেলেছে কয়েকবার। উদয় অবশ্য
ফোন ধরে বলে দিয়েছে চিন্তার কিছু নেই
আমি অনাদের বাড়িতে আছি।
বৃষ্টি থামলেই চলে আসবো।
উদয়ের হাতে একটা লুঙ্গি ধরিয়ে দিয়ে অনা
বললো— বৃষ্টি মনে হচ্ছে না রাত দশটার আগে
থামবে। এতক্ষণ ভেজা শরীর নিয়ে থাকার
কোনো দরকার নেই। গোসল করে নাও।
উদয়ের ও তা মনে হলো। লুঙ্গি নিয়ে বাথরুমে
ঢুকে উদয় আরো অবাক হলো৷ বাথরুমের পুরো
দেয়ালে উদয়ের ছবি টানানো! অনেক ছবি!
কোনোরকম গোসল করে বের হয়ে বললো—
বাথরুমে আমার এতো ছবি টানানো কেনো?
অনা ঝারি দিয়ে বললো— তোমার না, আমার
হিরোর। তাছাড়া এটা আমার ব্যক্তিগত বাথরুম।
কাউকে ঢুকতে দেই না। আজকে তোমাকে
দিলাম।
উদয় ভালো করে দেখে আসলো। তাঁরই ছবি!
যাকগে এ ব্যাপারে কথা বললে অনা আরো
রেগে যাবে। সারা বাড়িতে এরা দুজন। উদয়
বারান্দায় গিয়ে বৃষ্টি দেখছে। ভালো
লাগছে কিন্তু মনে মনে চাচ্ছে বৃষ্টি থেমে
যাক।
পেছন থেকে অনা উদয়ের শার্টের কলার ধরে
টান দিলো। উদয় ভয় পেয়ে নিজের বুকে থুতু
দিয়ে বললো— কলার ধরে টান দিলা কেনো?
— তোমার কী কোনো অনুভূতি নেই? একা একটা
বাড়িতে তোমার সামনে জলজ্যান্ত একটা
মেয়ে মানুষ। তার উপর বৃষ্টি হচ্ছে।
— এখানে অনুভূতির কী আছে?
— ধুর তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না।
— বাবা ও বলে।
উদয়ের চোখে চোখ রেখে অনা বললো—
শালারফুত, এখন যদি জড়ায় না ধরছিস তাহলে
কিন্তু চিৎকার করবো। বদনাম হয়ে যাবে,
তারপরে কিন্তু বিয়ে করতে হবে।
উদয় ভয় পেয়ে আস্তে করে অনাকে জড়িয়ে
ধরলো। অনা সমানে হেসে চললো। ভাবছে
ছেলে টা কতো বোকাসোকা। এজন্যই অনার
এতো বেশি ভালো লাগে উদয়কে। পরমুহূর্তে
অনা উদয়কে ধাক্কা দিয়ে বললো— আপনার আর
গরীবের বাড়িতে থাকতে হবে না সাহেব।
ছাতা দিচ্ছি চলে যান।
উদয়ের দ
👉Youtube Link
👆
👉Linkedin id Link
👆
👉Youtube Name..... #saikat350
👉Likedin id Name..... #saikatahmedsaikat
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন